টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৬৬ রান করেছে টাইগাররা। ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি করে ব্যাটিংয়ে আছেন লিটন দাস। নাজমুল হোসেন শান্ত ৭ রানে উইকেটে আছেন। তবে এরপরই বৃষ্টি নেমে খেলা বন্ধ হয়েছে। এ অবস্থায় খেলা না হলে বাংলাদেশ ১৭ রানে জয় পাবে।
আজ বুধবার সুপার টুয়েলভের ম্যাচে অ্যাডিলেডে গ্রুপ টু-তে খেলছে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ম্যাচটি শুরু হয়। প্রথমে ব্যাট করা ভারত লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলির হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করেছে।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ভারতের ইনিংসে তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে রোহিত শর্মা ক্যাচ তুলে দেন। কিন্তু থার্ডম্যান অঞ্চলে থাকা হাসান মাহমুদ সহজ ক্যাচটি ফেলে দেন। তবে পরের ওভারেই নিজের প্রথম বলেই এই ডানহাতি পেসার রোহিতকে (২) ফেরান। তার বলে খোঁচা দিলে শটে থাকা ইয়াসির আলী ক্যাচ লুফে নেন।
ইনিংসে প্রথম থেকে ঝড় তোলেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। অবশেষে তাকে ফেরান সাকিব আল হাসান। দলীয় দশম ওভারে তার বলে শর্ট ফাইন লেগে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান ক্যাচ নেন। ডানহাতি এই ব্যাটার ৩২ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫০ রান করেন।
ভারতের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ১৪তম ওভারে ভয়ঙ্কর সূর্যকুমার যাদবকে বোল্ড করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এই উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদির সঙ্গে যৌথভাবে ফের টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলেন সাকিব। এই ফরম্যাটে বর্তমানে তার উইকেট সংখ্যা ১২৭টি। এরপর আরেক ভয়ঙ্কর ব্যাটার হার্দিক পান্ডিয়াকে ব্যক্তিগত ৫ রানে ইয়াসিরের ক্যাচ বানান হাসান মাহমুদ।
দীনেশ কার্তিককে রান আউট করে ফেরায় বাংলাদেশ। পরে নিজের তৃতীয় উইকেট হিসেবে অক্ষর প্যাটেলকে মাঠ ছাড়া করান হাসান মাহমুদ।
তবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বিরাট কোহলিকে আউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত এই ব্যাটার ৪৪ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৮টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এদিন শ্রীলংকান গ্রেট মাহেলা জয়াবর্ধনেকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন কোহলি। ২৫ ম্যাচে তার রান ১০৬৫। সাবেক লংকান অধিনায়ক জয়াবর্ধনে ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান করেছিলেন। এছাড়া চলমান বিশ্বকাপেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে শীর্ষে উঠলেন কোহলি। অন্য ব্যাটার রবীচন্দ্রন অশ্বিন ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান হাসান মাহমুদ। ২টি উইকেট পান সাকিব।
আসরটির সেমিফাইনালে উঠতে দুদলের জন্যই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন হয়েছে। সৌম্য সরকারের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ভারত একাদশেও একটি পরিবর্তন এসছে। দীপক হুডার পরিবর্তে অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলকে নিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলী, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম।
ভারত একাদশ: লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, দীনেশ কার্তিক (উইকেটরক্ষক), রবীচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, আরশদীপ সিং।