বান্দরবানের আরও দুই উপজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

Slider জাতীয়


পর্যটকদের নিরাপত্তার কারণে এবার বান্দরবানের আলীকদম ও থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বান্দরবানের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর রুটিন দায়িত্বে থাকা উপসচিব মো. লুৎফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বান্দরবান জেলার আলীকদম ও থানচি উপজেলায় সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য বান্দরবান সেনানিবাসের এক পত্রের মাধ্যমে টহল কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বান্দরবানের আলীকদম ও থানচি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বান্দরবানের থানচি উপজেলার নীলদিগন্ত, তমাতুঙ্গী, নাফাকুম, বড়পাথর, রেমাক্রী, বড়মদক এবং আলীকদম উপজেলার আলীর সুরঙ্গ, ডিম পাহাড়, মারাইতং, দামতুয়া ঝর্নাসহ অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে, আর প্রতিদিনই এই সকল স্পটগুলোতে অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে যায়।

এদিকে এর আগে গত ১৮ অক্টোবর বান্দরবানের গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসীদের ধরতে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে জেলা প্রশাসন যা এখনো বলবৎ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর থেকে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে গহীন অরণ্যে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী আর অভিযানে গত ২০ অক্টোবর বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রাঙামাটির জেলার বিলাইছড়ি সাইজামপাড়া থেকে জামাতুল আনসার ফিল শারক্বীয়ার এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সর্বমোট ১০ সদস্যকে আটক করে র‌্যাব, আর এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *