শুক্রবার ভোর থেকে বাগেরহাট জেলা সদরসহ সব উপজেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা পরীক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ হেঁটে, কেউ ভ্যান বা ইজিবাইকে করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। আজ নিয়োগ পরীক্ষায় ৬ হাজার পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
সরেজমিনে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দেখা যায়, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে গোপালগঞ্জ যাবেন ইয়ামিন নামে এক পরীক্ষার্থী। বড় ভাইয়ের সঙ্গে বের হয়ে কোনো যানবাহন না পাওয়ায় হাঁটতে দেখা যায় তাকে। আক্ষেপ করে বলছিলেন, সমাবেশ খুলনায় হলেও ঢাকার পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। সময়মতো কেন্দ্রে হয়তো যেতে পারব না।
পাবনা থেকে পিরোজপুরের উদ্দেশে আসা হাসান নামে একজন বলেন, খুলনায় ভোর ৪টার দিকে পৌঁছালেও ভ্যানে করে বাগেরহাট আসতে সময় লেগেছে প্রায় ৪ ঘণ্টা। বাসস্ট্যান্ডে এসে আর কিছু না পাওয়াতে অপেক্ষায় রয়েছি। বাড়ি যেতে পারব কি না তাই নিয়ে সংশয়ে রয়েছি।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে খুলনায় চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন মোশাররফ নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু পরিবহন না থাকায় বাধ্য হয়ে ফিরে গেছেন বাড়িতে।
প্রসঙ্গত, ২২ অক্টোবর দুপুরে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিন বাস চলাচল বন্ধ রাখলেও বাস মালিক সমিতি বলছে, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে। এজন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।