বরিশালের গৌরনদীতে মেয়ের হত্যার ঘটনায় মামলা করায় বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে আসামিপক্ষ। হুমকির ঘটনায় গত সোমবার বরিশালের গৌরনদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা গ্রামে ১০ মে গৃহবধূ সুমা আক্তারকে (১৯) স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সুমার বাবা মতলেব ফকির বাদী হয়ে ১১ মে স্বামী রাসেদ ঘরামিকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, মাত্র চার মাস আগেই সুমার সঙ্গে একই গ্রামের মন্নান ঘরামির ছেলে রাসেদ ঘরামির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রাসেদকে নগদ এক লাখ টাকা ও মালামালসহ দুই লাখ টাকার যৌতুক দেওয়া হয়। আরও এক লাখ টাকার জন্য সুমাকে প্রায়ই মারধর করত রাসেদ।
হত্যা মামলার এজাহারের বিবরণ থেকে জানা যায়, ১০ মে সকালে টাকা না পেয়ে সুমাকে বেদম মারধর করা হয়। এ সময় সুমা অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতালে নেওয়ার সময় সুমার মুখে বিষ ঢেলে দেয় তাঁর স্বামী।
গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. আবদুস সালাম দেওয়ান জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁর স্বামী লাশ নেওয়ার জন্য গাড়ি আনার কথা বলে বাইরে যায়। কিন্তু লাশটি নিতে পরিবার থেকে আর কেউ আসেনি। পরে থানায় বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহত সুমার বাবা মতলেব ফকির বলেন, ‘টাহা দিতে না পারায় মোর কইলজার টুকরা মাইয়্যা দুনিয়া থাইক্কা বিদায় কইররা দিছে। এ্যাহন আবার মোরে মাইররা হালাইতে চায়।’ তিনি জানান, আসামিরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তাঁকে মামলা প্রত্যাহার করার হুমকি দিচ্ছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে তাঁকেও মেয়ের মতো মরতে হবে বলে রাসেদ ঘরামি হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগের ব্যাপারে রাসেদ ঘরামির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অপর দুই আসামি রাসেদের বাবা ও ভাই পলাতক। রাসেদের মা বলেন, এ ঘটনায় তাঁর ছেলে