কিশোরগঞ্জে দলীয় কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পাকুন্দিয়া সদরসহ বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে আহত হন কমপক্ষে ৫০ জন।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরের সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে।
জানা গেছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষোভ ও সমাবেশ চলছিল।
সকাল ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. মো. জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা সৈয়দগাঁও চৌরাস্তামোড় এলাকায় মিছিল বের করলে পুলিশ এতে বাধা দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এক পর্যায়ে পাকুন্দিয়া মঠখোলা সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, একই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সদরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে উপজেলা সদরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেল এবং পুলিশের টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে অন্তত ৫০ জন আহত হন।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন জানান, বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি ছিল না। তারা মিছিল নিয়ে পৌর বাজারের দিকে আসার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. মো. জালাল উদ্দিনউদ্দিন অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ বাধা দেয় এবং হামলা চালায়। পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। এতে তাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন।