নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত শাওন প্রধানের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে গিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা মহাসচিবের সঙ্গে নিহত শাওনের বাড়িতে যান।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফতুল্লার নবীননগর এলাকায় গিয়ে নিহতের মা ও পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। এসময় তিনি বলেন, নিহত শাওন বিএনপির মিছিলের সম্মুখভাগে ছিলেন। পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর বিনা উস্কানিতে পানিসমেন্ট দিয়েছে। সে কারণে পুলিশ পয়েন্ট র ্যাঙ্ক রেঞ্জের গুলি করে তাকে হত্যা করেছে এবং অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। পুলিশ এতটাই অমানবিক যে, প্রতিবেশী ও নেতা-কর্মীদের জানাজায় অংশ নিতে না দিয়ে রাতের আঁধারে তারা মরদেহ দাফন করে ফেলেছে।
এই যে অমানবিকতা, জনগণের বিরুদ্ধে কাজ, এই যে অগণতান্ত্রিক অপরাধ- এই অপরাধের নিশ্চয়ই এক দিন বিচার হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই অত্যাচারী-ফ্যাসিবাদী সরকার আজকে গুলি করে হত্যা করে, গুম করে আন্দোলন দমন করতে চায়। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে, মানুষ প্রতিবাদ করলে তারা গুলি করে হত্যা করে, অত্যাচার করে, নিপীড়ন করে।
আজকে শাওনকে হত্যা শুধু একটি ব্যক্তির হত্যা নয়, একটি আদর্শকে হত্যা। গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামকে হত্যা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে যারা শাওনকে হুলি করে হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সড়িয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই আওয়ামী সরকার মৃত শাওনকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। নিহত শাওন যুবদলের কর্মী এবং সেটা প্রমাণিত হয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, শাওন নাকি যুবদলের কর্মী নন, যুবলীগ করতেন। আমি বলি, সে যাই করুক তাকে তো হত্যা করা যাবে না।
এ সময় দলীয় মহাসচিবের সঙ্গে নিহত শাওনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বাবায়ক জাহিদ হাসান রোজেলসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।