ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পাওয়া জামিন কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল দেন। রাষ্ট্রপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ২৩ অক্টোবর রুল শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে সোমবার (২৯ আগস্ট) সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আবেদন করার অনুমতি দেন হাইকোর্ট। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
ওই মামলায় গত ২২ আগস্ট নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তাকে জামিনের আদেশ দেন। তবে জামিনের ক্ষেত্রে সম্রাটকে আদালত কিছু শর্ত দেন। তার পাসপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। আর আদালতের অনুমতি না নিয়ে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
জামিন মঞ্জুরের পর ২২ আগস্ট রাতে মুক্ত হন যুবলীগের সাবেক নেতা সম্রাট। অসুস্থতার কারণে জামিন পাওয়ার পরও তিন দিন হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন তিনি। গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) হাসপাতাল থেকে প্রথমে শান্তিনগরে তার মায়ের বাসায় যান সম্রাট। সেখান থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। এতে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।