আচ্ছা বলুনতো, আপনার মন কেমন আছে?মন ভালো আছেতো?
মনের যত্ন নিন।মনকে বুঝুন।
আমার কথা শুনে অবাক হচ্ছেন?
ভাবছেন মনের আবার যত্ন কি?
আমরা সবাই শরীর নিয়ে মাতামাতি করি কিন্তুু মনকে কেউ পাত্তা দেই না।মনও কখনও কখনও অসুস্থ হয়।শরীর অসুস্থ হলে সবার চোখে পড়ে কিন্তু মন অসুস্থ হলে কারোই চোখে পড়ে না।তাই মনের যত্ন নিতে হবে সবার আগে।
অপ্রিয় হলেও সত্যি পুরুষের চেয়ে নারীর মানসিক চাপ অনেক বেশি।পুরুষরা শুধু বাহির সামলায়। ঘর,বর,সন্তান,সংসার,চাকরি,চাকরির পাশাপাশি বিজনেসও সামলায় অনেক নারী।সেই নারীর উপর কি পরিমান মানসিক চাপ পড়ে কেউ তা খতিয়ে দেখে না।তাই অবশ্যই নারীর মনকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
মনকে চাপ মুক্ত রাখতে নারীকে মাঝে মাঝে কাজের বাইরেও নিজের মতো করে কিছু সময় কাটানো উচিত।মনকে প্রাধান্য দিয়ে মন যা করতে চায় তাই করা উচিত।
আমাদের নারীদের সবার জন্য সময় আছে বাট আমাদের নিজেদের জন্য কারো সময় নাই।আমরা সারাক্ষণ ভাবি কি করলে স্বামী খুশি হবে,কি করলে সন্তান খুশি হবে,কি করলে অফিসের বস খুশি হবে, কি করলে বাড়ির মুরুব্বীরা খুশি হবে।সবার ভাবনাটাই মাথায় ঘোরে সারাক্ষণ ।নিজের ভাবনা ছাড়া।তাই নিজেকে নিয়েও ভাবতে হবে।
নিজেকে গুরুত্ব দিতে হবে সবার আগে।আপনার মন ভালো থাকলে আপনার শরীর ভালো থাকবে। শরীর ভালো থাকলে আপনি ভালো থাকবেন।
আর আপনি ভালো থাকলেই আপনার পরিবারের সকলের যত্ন নিতে পারবেন।সবাইকে ভালো রাখতে পারেন।
আসুন আমরা নিজের মনের যত্ন নেই।মনকে ভালো রাখি।মনকে ভালো রাখতে বেশি কিছু লাগে না।এই ধরুন আপনার বাসার পাশের হাতির ঝিল অথবা আপনার বাসার কাছাকাছি কোনো সুন্দর জায়গায় নিজের মতো করে ঘুরে আসুন।তাও যদি সম্ভব না হয় বাসার ছাদে গিয়ে আকাশ দেখুন।আকাশের সাথে নিজের কষ্টগুলো শেয়ার করুন।দেখবেন মনটা কেমন ফুরফুরা লাগবে
সব কথার শেষ কথা মন ভালো রাখুন।মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।মনে রাখবেন মন ভালো তো সব ভালো।মন খারাপকে পাত্তা না দিয়ে খিলখিলিয়ে হেসে উঠুন।আমারও মাঝে মাঝে ভীষণ রকম মন খারাপ হয়।
এই যেমন ধরুন আজ আমার মন জঘন্য খারাপ।বিষণ্ণতায় ছেয়ে আছে মন।
কেন আমার মন খারাপ তা জানার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। তাই নিজের মন ভালো করার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে।
এই লেখাটা শেষ করে আমি কড়া করে এককাপ চা খাবো।তারপর ছাদে যাবো।কিছু সময় আকাশ দেখবো। তারপর মন খারাপকে দলা পাকিয়ে ছুঁড়ে মারবো আকাশের বুকে।তারপর একতুড়িতে ঝেড়ে ফেলবো সকল মন খারাপ।
এরপর আমি খিলখিলিয়ে হেসে উঠবো আর গলা ছেড়ে গাইবো
কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে
লেখকঃ খায়রুননেসা রিমি
কবি, শিক্ষক, শিশু সাহিত্যিক