রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার চাপায় ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গঠন করা তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তার সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর কাছে নির্ধারিত সময় সকাল ৮টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে জমা দেয়া হবে।
এর আগে সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে দুর্ঘটনার পর রাতেই অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কমিটি গঠন হওয়ার পর রাতেই এলাকা পরিদর্শন করেন কমিটি প্রধান।
এদিকে আজ ভোর থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সামনে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে জসীম উদ্দীন মোড়ে আড়ংয়ের সামনে নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে একটি প্রাইভেটকারের পাঁচ আরোহী নিহত হন। এছাড়া দুই যাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়।
জানা গেছে, বৌভাত খেয়ে প্রাইভেটকারে নবদম্পতিকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন স্বজনরা। পথিমধ্যে উত্তরার জসীম উদ্দীন মোড় সংলগ্ন সড়কে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে নিহত হন ৫ জন। প্রাইভেটকারে ৭ আরোহীর মধ্যে শুধু বেঁচে যান বর হৃদয় (২৬) ও নববধূ রিয়া মনি (২১)। শনিবার (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় তাদের।
প্রাইভেটকারে আরোহীদের মধ্যে ছিলেন হৃদয়ের বাবা রুবেল (৬০), হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা (৪০), রিয়া মনির খালা ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরনা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন। মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন।
মামলায় ক্রেনের চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গেজহুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি) ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতদের।