ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলাকারীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্ত হামলাকারী হাদি মাতারকে জামিন না দিয়ে রিমান্ডে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৩ আগস্ট) নিউইয়র্কের আদালতে তোলা হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলায় অভিযুক্ত হাদি মাতারকে। এ সময় তাকে নির্দোষ দাবি করে জামিন আবেদন জানান তার আইনজীবী। তবে তা প্রত্যাখ্যান করে মাতারকে রিমান্ডে পাঠান বিচারক।
চিকিৎসকরা বলছেন, অস্ত্রোপচার শেষে ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও রুশদির শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত চিহ্ন থাকায় কবে নাগাদ তিনি স্বাভাবিক হবেন তা এখনি বলা সম্ভব নয় বলে জানান তারা।
রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের সরকার, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদরা। হামলার ঘটনাকে বর্বর ও ভয়াবহ উল্লেখ করে দ্রুত তার আরোগ্য কামনা করেন।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানমঞ্চে কথা বলছিলেন সালমান রুশদি। আকস্মিক তার ঘাড়, পেট, বুকে ছুরিকাঘাত করে হামলাকারী। পরে দ্রুত হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
বুকার পুরস্কারজয়ী ৭৫ বছর বয়সী লেখক রুশদি ১৯৮১ সালে তার লেখা বই মিডনাইটস চিলড্রেন দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। তবে, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য তাকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল। উপন্যাসটি প্রকাশের পর থেকেই হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন তিনি। ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাসে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে বলে মনে করে তার মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন সেসময়কার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।