২৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। পরপর হাসান মাহমুদ ও মেহেদী মিরাজের আঘাতে মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে তারা।
প্রথম ওভারেই কাইতানোকে ফেরান হাসান। হাসান মাহমুদের ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করে গিয়েছিলেন তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো। হয়েছেন এলবিডব্লু।
হাসানের পর বোলিংয়ে দ্বিতীয় ওভারে মিরাজ এসেছেন। সফলও হলেন। ক্রিজ ছেড়ে তেড়েফুড়ে এসে খেলতে গিয়ে বলের লাইন পুরোপুরি মিস করে গেছেন তাদিওয়ানশে মারুমানি। অফ স্টাম্প হারিয়েছেন তিনি, ফিরেছেন ১ রান করেই। প্রথম ওয়ানডেতেও প্রথম ২ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
এখন ব্যাট করছেন কাইয়া (১) ও মাধেবোরে (১)। দলের রান ৫ ওভারে ১৭।
এর আগে আগের দুই ম্যাচের মতো সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও টসে হারে বাংলাদেশ। তাই জিম্বাবুয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগে ব্যাট করতে নামতে হয় টাইগারদের।
দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় মিলে ইনিংসের প্রথম ৮ ওভার থেকে ৪০ রান তুললেও এরপরই শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। ৪১ থেকে ৪৭, এই ৭ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান তামিম (১৯), নাজমুল হোসেন শান্ত (০) এবং মুশফিকুর রহিমকে (০) হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
এক প্রান্তে আসা-যাওয়া চলতে থাকলেও অন্য প্রান্তে বিজয় ছিলেন অবিচল। ঘরোয়া ক্রিকেটে রেকর্ড সংখ্যক রান করে দলে সুযোগ পাওয়া বিজয় ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। পাঁচে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সাথে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেছিলেন। রিয়াদ ধীরগতিতে ব্যাট চালালেও বিজয় খেলছিলেন সময়ের দাবি মিটিয়ে। ৪৮ বলে তুলে নিয়েছিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক। তবে বেশি চালিয়ে খেলতেই শেষতক উইকেট খোয়াতে হয়েছে তাকে। ইনিংসের ২৫তম ওভারে লুক জংওয়ের আউটসাইড অফের বল থার্ডম্যানের দিকে ঠেলে দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি হয়ে ফিরেছেন তিনি। ফেরার আগে ৬ চার এবং ৪ ছয় সহযোগে ৭১ বলে ৭৬ রান করেছেন তিনি।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেনের ৮১ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। আজও এই দুজন চেষ্টা করেছিলেন, এদিন পঞ্চম উইকেটে তাদের জুটি থেকে আসে ৪৯ রান। তবে ইনিংসের ৩৫তম ওভারে দলীয় ১৭৩ রানে মাহমুদউল্লাহ রিচার্ড এনগারাভার বল স্টাম্পে টেনে এনে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ৬৯ বলে ৩ চারের সাহায্যে ৩৯ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর বেশিক্ষণ টেকেননি সাতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৪ বলে ১৪ রান করে এই অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে অন্য প্রান্তে আফিফ হোসেন ততক্ষণে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক। শেষদিকে তার ৮১ বলে ৮৫ রানের লড়াকু ইনিংসে ভর করেই সম্মানজনক সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।