ফাহিমা কাদের চৌধুরির মতো সৎ পুলিশ অফিসার প্রতিটা থানায় প্রয়োজন—-ফরিদপুরের পুলিশ সুপার

Slider বাংলার সুখবর


মাহমুদুর রহমান(তুরান) ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলেও চট্টগ্রাম জেলার কর্নফুলি থানার বড় উঠান গ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরির গর্বিত সস্তান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার সহকারি পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরি সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। সহকারি পুলিশ সুপার ফাহিমা কাদের চৌধুরি একজন ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ অফিসার।

প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। “পুলিশ জনগণের বন্ধু” তিনি এই বাক্যটির উৎকৃষ্ট নিদর্শন। তিনি অন্যতম একজন আদর্শ পুলিশ অফিসার যিনি তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন।

“পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই স্লোগানকে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা সহকারি পুলিশ সুপার ফাহিমা কাদের চৌধুরি। সহকারি পুলিশ সুপার ফাহিমা কাদের চৌধুরি ভাঙ্গা উপজেলার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। অধিকাংশ মানুষই তাকে গরিবের বন্ধু হিসাবে জানেন।

তিনি তাঁর সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও তার বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান। তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন পাশাপাশি অনেক সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি অবদান রেখেছেন।

জানা গেছে, ফাহিমা কাদের চৌধুরি ২০১৩ সালে সহকারি পুলিশ সুপার পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। পুলিশে যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে থাকেন। ২০২০ সালে তার কাজের দক্ষতা দেখে সরকার তাকে মালিতে মিশনে পাঠান। মিশন শেষ করে তিনি সহকারি পুলিশ সুপার (ভাঙ্গ সাকের্ল) পদে যোগদান করেন।

তাঁর দায়িত্বরত এলাকার লোকজন বলেন, তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার। তিনি আমাদের বন্ধু তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ আমাদের এলাকা মাদক, চাদাঁবাজ, দখলবাজ, ইভটিজার, জঙ্গি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাস মুক্ত। তারা আরো বলেন, তাঁর মতো একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠী আওয়াজ তোলা পুলিশ অফিসার পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য।

সহকারি পুলিশ সুপার ফাহিমা কাদের চৌধুরি বলেন, বর্তমান সরকার গণমানুষের বন্ধু, সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখেহাসি ফোটাতে, মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ দুঃখভাগাভাগি করে নিতে। আমরা মানুষের অতন্ত্র প্রহরী আমাদের কাজ হচ্ছে দেশকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাদাঁবাজ, ইভটিজার মুক্ত করে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা।

আমার কাছে ধনী-গরিব, রিক্সাচালকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান। একজন নির্যাতিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হলো পুলিশ। আর আমরা যদি তাদের আশ্রয় এবং তাদের সমস্যা নিরসন না করি তাহলে কে করবে। “পুলিশই জনতার এবং জনতাই পুলিশ” আমি এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস মুক্ত করতে এগিয়ে যাব।

তিনি আরো বলেন, আমরা অতন্ত্র প্রহরী হিসাবে রাত জেগে থাকি শুধু জনগণ শান্তিতে ঘুমাবে বলে, আমাদের ঈদের ছুটিও নেই শুধু জনগণ যাতে তাদের এই ঈদকে সুন্দর, সুশৃঙ্খল এবং শান্তিতে কাটাতে পারে। কত পুলিশ অফিসার প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দেশকে জঙ্গি, সন্ত্রাস মুক্ত করতে।

আমি একটি কথা বলবো জনগণের উদ্দেশ্যে-আপনারা পুলিশ কে নিজের বন্ধু ভাবুন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশজনগণের শুধু বন্ধুই নয়, সেবকও। পুলিশ সব সময়ই জনগণের বন্ধুহিসেবে জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের পক্ষে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সেবা দেয়া সম্ভব নয়। সহকারি পুলিশ সুপার ফাহিমা কাদের চৌধুরি সততা ও ন্যায়নিষ্ঠায় সমগ্র ভাঙ্গাবাসী গর্ববোধ করেন।

পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান ফাহিমা কাদের চৌধুরির সততা ও ন্যায়নিষ্ঠায় মুগ্ধ হয়ে বলেন, জীবন সংগ্রামকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করার জন্য প্রয়োজন সঠিক মানুষের। যে দিন বাংলাদেশের প্রতিটা থানায় একজন করে ফাহিমা কাদের চৌধুরির মতো সৎ পুলিশ অফিসার থাকবেন সেদিনই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সুন্দর এবং শান্তিময় দেশ।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান বিপিএম(সেবা) আরো বলেন, ফাহিমা কাদের চৌধুরির মতো একজন সহকর্মী পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তারমতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব। প্রতিটি অপরাধ দমনে ফাহিমা কাদের চৌধুরির মতো পুলিশ অফিসারের সান্নিধ্য পেলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ অনেক এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *