ছাত্রলীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা : যুবলীগের ২ কর্মী গ্রেফতার

Slider রাজনীতি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা হাসিবকে (২০) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দুই যুবলীগের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ও রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন মামলার ১০ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি উপজেলার মধুপুর গ্রামের সামছুল হক ডাক্তার বাড়ির মানিক মিয়ার ছেলে রকি (২৬) ও ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি উপজেলার মহবুল্লাপুর গ্রামের চৌধুরী পুতেরবাড়ির আব্দুল হাইয়ের ছেলে বাহার উদ্দিন (২২)।

শুক্রবার সকালে নোয়াখালীর (এসপি) মো: শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের চাচা সিরাজুল ইসলাম ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালপুর ইউনিয়নের ছোবান মার্কেটের পাশে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবকে একা পেয়ে মহবুল্লাপুর গ্রামের হাছানের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে হাসিবকে গলা কেটে হত্যা করে।

নিহত হাসিব গোপালপুর দুলাল চেয়ারম্যানের বাড়ির মৃত আবুল বাসারের ছেলে ও ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা।

ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের চাচা সিরাজুল ইসলাম ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, হাছান-মাসুম এবং শিশু রাসেল-সোহাগ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবত দলীয় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে মত বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে হাসিবকে হত্যা করে স্থানীয় হাছান-মাসুম গ্রুপের যুবলীগ কর্মীরা।

এদিকে বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নে যুবলীগের হাতে ছাত্রলীগ নেতা হাসিব (২২) নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় ছাত্রলীগ নেতার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

পরে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো: হাসিবুল বাশারের লাশ উপজেলার চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নিহত হাসিববের হত্যাকারী ও তাদের মদদদাতাদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানায়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম রাতুল, সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী, চৌমুহনী পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাকসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন সাইফুল। তারা হত্যাকারীদের দলে অনুপ্রবেশকারী বলে দাবি করেন।

পরে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে শান্ত থাকার পরামর্শ ও হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য রাখেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।

ওসি বলেন, ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরে নেতাকর্মীরা শান্ত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *