রাজধানীতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ব্যবসায়ী গাজী আনিস বিশ্বাসকে (৫০) গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে শাহবাগ থানা পুলিশ। তবে ভর্তি করার পর সন্ধ্যায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা: এসএম আইউব হোসেন জানান, আনিসের শরীরের ৯০ শতাংশ বার্ন হয়েছে। তাকে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পরেই লাইফ সাপোর্টে আনা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার বিকেলে আনিস বিশ্বাস জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। তিনি কুষ্টিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলে জানা গেছে।
আনিস বিশ্বাস কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টিবাজার এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ছেলে।
শাহবাগ থানার এসআই গোলাম হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি আত্মহত্যা চেষ্টাকারীর নাম আনিস বিশ্বাস। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীতে।
জানা গেছে, কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা কাজী আনিস কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৩ সালে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। তার আগে তিনি ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।