শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের কাজীহাটি গ্রামের কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে।
এ সময় ঘরের ওপর রেইন ট্রি গাছ ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে ঘুমন্ত অবস্থাতেই হযরত আলী (৩৫) ও তার ছেলে রিজন মিয়া (৭) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
কটিয়াদী থানার ওসি হেদায়েতুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে মশুয়া ইউনিয়নের কাজীরচর গ্রামের আব্দুল মান্নানের (৬০) ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে রোববার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
কুলিয়াচর থানার ওসি চৌধুরী মিজানুজ্জামান জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নরসিংদীর বেলাবো থেকে মাছ বিক্রি শেষে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন শীতল চন্দ্র বর্মণ (৩২) নামে এক জেলে।
পথে কুলিয়ারচরের দাড়িয়াকান্দিতে হঠাৎ ঝড়ে গাছ ভেঙে অটোরিকশার ওপর পড়ে। এতে গাড়িটি উল্টে ঘটনাস্থলেই শীতল চন্দ্রের মৃত্যু হয়।
এদিকে, বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. জমির উদ্দিন জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঝড়ের মধ্যে উঠানে ছিল জিলালপুর ইউনিয়নের পাতালচর গ্রামের আব্দুল হান্নানের মেয়ে রিয়া আক্তার (১০)।
হঠাৎ একটি গাছের ডাল ভেঙে তার মাথায় আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তবে ঝড়ে এসব এলাকায় প্রাথমিকভাবে আরো কি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।