চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সদরের আমিরাবাদ এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে গ্রেপ্তার দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁরা হলেন জসিম ওরফে জহিরুল ইসলাম ও আরজিনা ওরফে রাজিয়া সুলতানা।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
রেজাউর রহমান বলেন, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গ্রেপ্তার দুই জঙ্গিকে নিয়ে পুলিশ আদালত থেকে থানায় পৌঁছায়। আজ সকাল থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।
এর আগে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে তোলে পুলিশ। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই মামলায় গ্রেপ্তার দুজনের ১২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে, সীতাকুণ্ড সদরের আরেক জঙ্গি আস্তানা প্রেমতলা চৌধুরীপাড়ার ছায়ানীড় নামে বাড়িটিতে আজও কাজ করছে পুলিশের তিনটি সংস্থা। তাঁরা ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ক্রাইম সিন ম্যানেজমেন্ট ও পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন দল ওই বাড়িতে প্রবেশ করে।
বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলটি বাড়িতে আর কোনো বোমা বা বিস্ফোরক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে। অন্য দুটি সংস্থা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে।
গত বুধবার পৌরসভার আমিরাবাদ এলাকার ‘সাধন কুটির’ নামের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেনেড, সুইসাইড ভেস্ট, পিস্তল, বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ জসিম ও আরজিনাকে ধরা হয়। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় সন্ত্রাস দমন ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় জসিম ও আরজিনাকে আসামি করা হয়েছে।
জসিম ও আরজিনার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৌরসভার প্রেমতলা চৌধুরীপাড়া এলাকায় বুধবার আরেকটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে ‘ছায়ানীড়’ নামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নারীসহ চার জঙ্গি ও এক শিশু নিহত হয়। এ ঘটনায় হত্যা ও সন্ত্রাস দমন আইনে আরও দুটি মামলা করে সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশ। সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় জসিম ও আরজিনাকে আসামি করা হয়েছে। আর হত্যা মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।