শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, জামালগঞ্জ উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের রননারচর গ্রামের মৃত নরেন্দ্র দাসের ছেলে জ্ঞানেন্দ্র দাস (৬০), একই উপজেলার ভরারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে জমসেদ মিয়া (৪৫), নগদিপুর ছয়হারা গ্রামের শামসুল হক, নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপুর গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে মিলাদ মিয়া (২০), দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ঠাকুরবুঘ গ্রামের জুয়েল (১৭) এবং জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগের গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাঁধন মিয়া (১৯)।
এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের (৩০), শাল্লা উপজেলার ফয়জুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক মিয়ার (৩০) নাম জানা গেছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে দিরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড় ও বজ্রবৃষ্টি হয়। উপজেলার কালিকুটা হাওরে ধান কাটছিলেন জ্ঞানেন্দ্র। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
কৃষক জমসেদ ভরারগাঁও গ্রামের পার্শ্ববর্তী হাওরে এবং মিলাদ মিয়া দিরাই উপজেলার সাকিতপুর গ্রামের একটি হাওরে ধান কাটছিলেন। বজ্রপাত হলে আহত হন তারা। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ঠাকুরবুঘ গ্রামে পার্শ্ববর্তী একটি হাওরে জুয়েল কাজ করছিল। এ সময় বজ্রপাত হলে আহত হন তিনি। পরে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁধন মিয়া উপজেলার পাখনার হাওরে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া, আবু তাহের শান্তিপুর গ্রামের একটি হাওরে এবং ফারুক টুপচানপুর গ্রামের একটি হাওরে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে আহত হন তারা। তাদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।