গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতে খালেদ আহমেদ যেভাবে তোপ ছুড়েছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল অল্প পুঁজিতেও ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেন আগের দিনের ক্যারিবীয়দের দুই অপরাজিত ব্যাটার। তাদের ব্যাটেই দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ-১০৩ ও ২৪৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-২৬৫ ও ৮৮/৩ (লক্ষ্য ৮৪)
রোববার অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ৮৪ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ দিন মাত্র ৩৫ রানের জন্য মাঠে নামে আগের দিন ৩ উইকেট হারানো উইন্ডিজ। তৃতীয় দিন ১৫ ওভারে দলীয় ৪৯ রানের শেষ করেছিল দলটি। এদিন আরও ৭ ওভারে ৮৮ করে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ৬৭ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যপ্রান্তে ৫৩ বলে ২৬ রানে জার্মেই ব্ল্যাকউড অপরাজিত থাকেন।
এর আগে সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্ট জমিয়ে তোলে বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের ইনিংসে হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহান। এই জুটি টাইগারদের লিড পাইয়ে দেওয়ার পর ২২১ বলে ১২৩ রানের দারুণ পার্টনারশিপ গড়েন।
তবে ৬ রানের ব্যবধানে দুজনকেই কেমার রোচ তুলে নিলে ম্যাচে ফেরে উইন্ডিজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব ৯৯ বলে ৬টি চারে ৬৩ করে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে ক্যাচ দেন। অন্যদিকে ১৪৭ বলে ১১টি চারে ৬৪ করে উইকেটরক্ষক জসুয়া ডি সিলভাকে ক্যাচ দেন।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানে অলআউট হয়। যেখানে প্রতিপক্ষকে কেবল ৮৪ রানের লক্ষ্য দেয়।
ছোট লক্ষ্য দিলেও বাংলাদেশ পেসার খালেদ আহমেদ স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। উইন্ডিজের দলীয় ৯ রানেই এই ডানহাতি ৩ উইকেট দখল করেন। তিনি একে একে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটার ব্র্যাথওয়েট, রেমন রেইফার ও এনক্রুমাহ বোনারকে বিদায় করেন।
এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হয়। জবাবে ক্যারিবীয়রা প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে থামে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটসহ ম্যাচে ৭ উইকেট পাওয়া কেমার রোচ ম্যাচ সেরা হন।
আগামী ২৪ জুন সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।