সুনামগঞ্জে ঘুরতে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থী। আটকা পড়া শিক্ষার্থীরা সুপেয় পানিসহ নানা সংকটে দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের দলটি তিন দিন আগে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এ অবস্থায় ভ্রমণে যাওয়া ঢাবির এই শিক্ষার্থীরা সুনামগঞ্জের একটি রেস্তোরাঁয় আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন ছাত্রী।
আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. শোয়াইব আহমেদ বলেন, তিন দিন আগে আমরা টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে আসি।গতকাল সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি হয়। এই পরিস্থিতিতে আমরা সুনামগঞ্জ শহরের ‘পানসী’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় আশ্রয় নিই। সেখানে আমরাসহ অনেকেই আটকা পড়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে খাবার, সুপেয় পানির সংকটে আছি। এখানে শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই। এখানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করছে না। সব মিলিয়ে আমরা খুব দুরবস্থার মধ্যে আছি। আমাদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা কাজ করছে। উদ্ধারের জন্য আমরা আরজি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে এ ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা কামনা করছি। প্রয়োজনে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের জন্য আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলেই সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। আজ শুক্রবার পানি আরও বেড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জেলার প্রায় সব উপজেলাই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার কয়েক লাখ মানুষ।