বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনা হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ভারতের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা পি কে হালদার ও তার অর্থ- দুটোই ফেরত দিতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, কানাডায় বাড়ি করা বন্ধ। সেখানে যারা বাড়ি করেছে বা টাকা রেখেছে, এসব টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ওই দেশের সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের এসব টাকা ফেরত দেবে বলে জানিয়েছে।
শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পাচার হওয়া অর্থ বৈধ করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ দেশে ফেরত আনতে এই সুযোগ দেয়া হয়েছে।
মানুষের কল্যাণেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা ডিজিটাল মাধ্যমে পাচার হচ্ছে। নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ উন্নত দেশও এ ধরনের সুযোগ দেয়। নানা কারণে টাকা পাচার হয়, কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলোর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়া যায় না। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যাকশনও নেয়া হচ্ছে প্রমাণ সাপেক্ষে। এগুলো আমরা চেষ্টা করছি ফেরত আনতে। আপনারা বাধা দিয়েন না। বাধা দিয়ে লাভ কী।
মন্ত্রী বলেন, বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা হয়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা প্রকাশ করেন, বাজেটে প্রতিটি খাতে আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট বাস্তবায়ন অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ‘কোভিডের অভিঘাত কাটিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগানে গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।