চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (০৭ জুন) রাত পর্যন্ত ১৯ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন।
দগ্ধ ১৯ জন হলেন- ফায়ার ফাইটার মো. গাউসুল আজম (২২) ও মো. রবিন মিয়া (২২), মো. মাসুম মিয়া (৩৪), মো. ফরমানুল ইসলাম (৩০), মো. রুবেল মিয়া (৩৪), মো. ফারুক হোসেন(১৬), মো. হোসেন মহিবুল্লাহ (২৭), মো. আমিন (৩২), মো. মইনুল হক (৪০), মো. রাসেল (৩৯), মো. ফারুক হোসেন (৪৫), মো. খালেদুর রহমান (৫৮), একেএম মাকফারুল ইসলাম (৬৫), এস আই কামরুল ইসলাম (৩৭), মো. নজরুল মন্ডল (৩৮), মো. সজীব মিয়া (৩৫), মো. এনামুল (২৫), মো. বদরুজ্জামান রুবেল (১৮) ও মো. সুমন হাওলাদার (৩৪)।
ডা. আইউব হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম থেকে এ পর্যন্ত ১৯ জনকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা হলেন- ফায়ার ফাইটার মো. গাউসুল আজম, ফায়ার ফাইটার মো. রবিন মিয়া ও এ কে ম মাকফারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। রবিনের শরীরে ৬০ শতাংশ, গাউসুলের শরীরে ৮০ শতাংশ ও মাকফারুলের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া ফরমানুল ইসলামের শরীরে ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাকে ড্রেসিংয়ের জন্য অটিতে রেফার্ড করা হয়েছে। আর বাকি ১৫ জনকে পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ৪ শতাংশ থেকে শুরু করে ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তারা কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টায় এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত নয়জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক।