ফের বিস্ফোরণের শঙ্কা, নিরাপদ দূরত্ব তৈরী করা হচ্ছে

Slider চট্টগ্রাম


চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন প্রায় ৪০ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কনটেইনারে এখনো থেমে থেমে আগুন জ্বলে উঠছে। আবারও বিস্ফোরণের আশঙ্কায় সেখান থেকে সবাইকে বের করে দিচ্ছেন আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোর পাশে আরও কনটেইনারে রাসায়নিক থাকতে পারে। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা। ঘটনাস্থলে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের দেখা যায়। ধোঁয়া উঠছে কুণ্ডলী পাকিয়ে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডিপোর ভেতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. ফখরুদ্দিন। তিনি জানান, বিভিন্ন কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার। কোন কন্টেইনারে রাসায়নিক আছে তা বলতে না পারায় আমাদের সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ডিপোর প্রধান ফটকে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত বিএম ডিপোকাণ্ডে ৪৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও চিকিৎসকরা।

জানা গেছে, বিএম ডিপোটিতে ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’ নামে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ছিল। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ; উচ্চতাপে এটি বিস্ফোরক হিসেবে আচরণ করে। বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এতে উদ্ধারকর্মীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

এর আগে গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কদমরসুল এলাকায় বিএম ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দুই শতাধিক দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৫ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *