আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, নির্বাচনে না আসলে বিএনপির অবস্থা ন্যাপের মত হবে বলে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ২০৪০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে বলে জানান তিনি।
সোমবার (৩০ মে) বিকেলে চট্টগ্রামের একটি কনভেনশন সেন্টারে মহানগর যুবলীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিএনপি ২০০৯ সাল থেকে বলে আসছে সরকার পতনের কথা। ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর ঘোষণার মধ্যেই এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। যত টানাটানি করবে ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ ততই দীর্ঘায়িত হবে। আগামী ২০৪০ পর্যন্ত নামানো যাবে না।
তিনি বলেন, যারা বলে বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মত হবে তারা জনগণের শত্রু। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। তারা এখন জাতীয় সরকারের কথা বলে। বলে নির্বাচনে অংশ নেবে না। ক্যান্টমেন্টে সৃষ্ট রাজনৈতিক দল কখনো গণতান্ত্রিক হবে না। নির্বাচন হবে সব গণতান্ত্রিক দেশের মতো সংবিধান মেনে। কোন অবৈধ শক্তি ক্ষমতায় আসার সুযোগ আর নেই।
যুবলীগের চেয়্যারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে এক-এগারোর কুশীলবরা উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু এটি কখনো সম্ভব না। কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। এদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে বিশ্বাসযোগ্য আর কেউ নেই।
তিনি বলেন, কথিত সুশীলরা আরও একটি এক-এগারোর আয়োজন করতে চায়। ক্ষমতার লোভে আপনারা এসব অপরাধ বন্ধ করেন। কোনও জাতীয় সংকটে তো আপনারা জনগণের পাশে থাকেন না। আপনারা ভুলে যাবেন না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন জনগণই তার শক্তি। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে। তিনিই ন্যায়ের প্রতীক।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বই শুধু গঠিত হবে না, একটি নতুন অধ্যায়েরও সূচনা হবে। নতুন নেতৃত্বের হাতে অনেক চ্যালেঞ্জ। নতুন নেতৃবৃন্দকে নতুনভাবে দল গুছাতে হবে। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। যুবলীগ করতে হলে স্বচ্ছ ও ন্যায়ের রাজনীতি করতে হবে।
পরশ বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ছিল তখন সীমাহীন দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার, গুম, হত্যা, খুন বেড়ে যায়। তখনই জনগণ সে সরকারকে হটাতে বাধ্য হন। মানবিকতা ন্যায়পরায়ণতা স্বচ্ছতা দিয়ে যুবলীগ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদেরও এসব যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। ২০২৩ সালে আবারও শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় আনতে পরিশ্রম করতে হবে।
নগর যুবলীগকে নির্দেশনা দিয়ে পরশ বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হতে হবে, গ্রুপিং বন্ধ করতে হবে, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে হবে।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর আত্তয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।