অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সেটি আত্মঘাতী হবে, আমরাও সেটি বুঝি। দাম বাড়ালে তো অবশ্যই কোনো না কোনোভাবে কারও না কারও ওপরে গিয়ে সেটির প্রভাব পড়ে। আমরা চাই, প্রভাবটা যেন কম পড়ে। সব জিনিস যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সেই ব্যবস্থা করব। সে জন্য সরকার নিজেই ভোক্তার সঙ্গে এটি ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এ বাজেটে নিচু, মাঝারি, উচু- সব শ্রেণির মানুষকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। যখন কোনো সিদ্ধান্ত আসে, তখন অনেকেই সুবিধাভোগী হন। এখন যদি বড় কাউকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য থাকে যে, এখানে কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে কিনা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক ক্ষেত্রে কোনও সুবিধা থাকে কিনা, সেটি দেখা হয়। সুযোগ দিলে যদি কোনো ভালো কিছু হয়, তবে উপকারভোগী হবেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এদেরই আমরা প্রাধান্য দিয়েছি।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাঝেই বাজেট পেশ করার বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘উত্থান-পতনন সারা বিশ্বেই হচ্ছে। ধনি-দরিদ্র কোনো দেশই এর বাইরে নেই। আমাদের মূল কাজ হবে স্ট্যাবিলাইজেশন। আমরা বিভিন্ন পলিসির মাধ্যমে এটি একটি জায়গায় নিয়ে আসতে চাই। আমাদের গ্রোথ দরকার।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকায় ৪০ বছরে যেটা হয়নি, সে পরিমাণ ইনফ্লেশন হয়েছে। প্রত্যেক দেশে একই রকম অবস্থা। মার্কেট ইকোনমিতে যেমন সুবিধা পাওয়া যায়, তেমনই কোনো সমস্যা হলে সারা বিশ্বে সেটি ছড়িয়ে পড়ে। আমরা চেষ্টা করছি মানুষ যতটা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’