দেশের ফুটবলের উন্নয়নে সরকারকে ৪৫০ কোটি টাকার পরিকল্পনা জমা দিয়েছে বাফুফে। পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব’। দেশের ইতিহাসে যেটি সবচেয়ে বড় ফুটবল বাজেট। সারা দেশের ৬৪টি জেলায় যেখানে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও ফুটবলীয় কার্যক্রম পরিচালনার ওপর। পরিকল্পনা আছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়েও।
দেশের ফুটবলের উন্নতিতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। যেটা বাস্তবায়ন করতে না পারলে ফিফা বিশ্বকাপ তো দূরে থাক, এশিয়ান গেমসের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন পূরণও দুঃসাধ্য হয়ে যাবে বাংলাদেশের জন্য।
নিজের চতুর্থ মেয়াদে এসে যেন তা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন কাজী সালাহউদ্দিন। দেশের ফুটবল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর আশ্বাস দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। এরইমধ্যে নাকি সরকারকে ‘উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব’ শীর্ষক ৪৫০ কোটি টাকার পরিকল্পনা জমা দিয়েছে ফেডারেশন। যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ফুটবল বাজেট। যেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্কিল, ট্রেনিং আর ফুটবলীয় কার্যক্রম পরিচলনায়।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘সাড়ে চারশ কোটি টাকার ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) এটা। আমাদের লক্ষ্য একটা ডিপিপির আওতায় বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে দেশের ফুটবলের উন্নয়নের জন্য একটা প্রোজেক্টের আওতায় টাকাটা এনে ফুটবলের যে আমাদের মেইন মেইন ক্ষেত্রগুলো আছে, বাংলাদেশ ফুটবল দল, নারী ফুটবল দল, ওমেন্স ফুটবল, এমনকি আমাদের যে প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ, লিগগুলোকেও একটু সুসংহত করা।’
পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প শেষ হবার সম্ভাব্য সময় ২০২৬ এর জুনে। পরিচালিত হবে ৬৪ জেলায়। ধাপে ধাপে উন্নতি ঘটানো হবে তৃণমূল কাঠামো থেকে ক্লাব ও জাতীয় দলের ফুটবলারদের। যেটির বাস্তবায়ন ঘটলে আন্তর্জাতিক সার্কিটে সাফল্য পেতে পারে বাংলাদেশ।
‘টোটাল বাংলাদেশের ফুটবলটাকে নিয়েই এই প্রোজেক্টটা চকআউট করা হয়েছে, এটা একটা বিষয়। আর আমদের প্রিলিমিনারি টার্গেট হচ্ছে, পাঁচ বছর মেয়াদী কার্যক্রম চলবে এখানে। যখন থেকে আমরা আর্থিক বরাদ্দটা পাবো, সেই সময় থেকে আমাদের পাঁচ বছরের কার্যক্রম কাউন্ট করব।’ -বললেন সোহাগ।
প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাইবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। আসন্ন বাজেট অধিবেশনে সংসদে উত্থাপণের পর নতুন অর্থবছরে পাওয়া যেতে পারে অর্থ।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশন একটা বড় প্রকল্প আমাদের ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কয়েকটি সভাও করেছি। তাদের অনেক বড় একটা প্রকল্প, সেখানে ট্রেইনিং সেন্টার, একাডেমি, কয়েকটি স্টেডিয়াম সংস্কার থেকে শুরু করে অনেক বড় একটি প্রোজেক্ট তারা ইতোমধ্যে আমাদেরকে দিয়েছে। জুলাই-আগস্টের মধ্যে আমরা প্লানিং কমিশনে পাঠাব। আশা করি, এই বরাদ্দটি আমরা আনতে পারব।’
প্রকল্প পাশ হলে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাই থাকবে বড় চ্যালেঞ্জ। অব্যবস্থাপনায় অনেক প্রকল্পের মতো এটাও যেনো বিফলে না যায়, সেটাও যে কড়া নজরদারিতে রাখতে হবে কর্তাদের।