দিনাজপুর প্রতিনিধি – দিনাজপুর বীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বর্ধিত সভায় উপজেলা নেতাদের সামনে ইউপি আ’লীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাজা নেতৃত্বে বহিরাগতদের দিয়ে হামলা চালিয়ে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সহ ৩ জনকে আহত করেছে। পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
উপজেলা সাতোর ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ই মে সোমবার বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তি যোদ্ধা দধীনাথ রায়ের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ আব্দুল হক সবুজ।
বিষেশ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম ফিরোজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসান জুয়েল, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ঈশ্বর চন্দ্র রায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাজা, সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউল করিম শেখ।
বর্ধিত সভায় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে আগামী ২২শে মে কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারিত হয়। এ ব্যাপারে আহত আব্দুল আল মামুন জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউল করিম শেখ ও সিনিয়র সহ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাজা ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে তারিখ ও কাউন্সিলার নির্ধারন নিয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হলেও ওয়ার্ডে ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে কোন কথা বলতে না দেওয়ার প্রতিবাদ করলে সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম শেখ ওয়ার্ড নেতাদের গোলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে বল্লে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাজার নেতৃত্বে বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে দলীয় নেতা কর্মিদের আহত করে ।
বর্ধিত সভায় বহিরাগত অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দলীয় নেতা কর্মিদের উপর হামলা চালানোর ঘটনায় আগামীতে সুষ্ঠু সুন্দর কাউন্সিল নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছি। আমি এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে দিনাজপুর-১ বীরগঞ্জ-কাহারোল আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মৃত: মনির উদ্দিন সরকারের ছেলে আল মামুন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসনের ছেলে আসিফ বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান রাঙ্গার ছেলে হিটলার আহত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
এ ব্যপারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউল করিম শেখ ও সিনিয়র সহ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নাই। তারা মোবাইল ফোনও রিসিভ করেনি। তবে উপস্থিত উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেন।
সংবাদ পেয়ে বীরগঞ্জ থানার এসআই সজল এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করলে পুনরায় বর্ধিত সভার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ ঘটনায় আসন্ন কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।