শ্রমিকদের জন্য এত কাজ করার পরেও কিছু শ্রমিক নেতা আছেন, যারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে পছন্দ করেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন,‘নিজের দেশের সস্পর্কে অন্যের কাছে না বলে কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে আমাকে জানান।’
আজ রোববার মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনেক শিল্প মালিক ঠিকমতো টাকা দেন না। যেকোনো প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে মালিকের যেমন শ্রমিকের ওপর দায়িত্ব থাকবে, তেমনি শ্রমিকেরও মালিকের ওপর দায়িত্ব থাকবে। শ্রমিকরা সুস্থ পরিবেশ পাচ্ছে কিনা সেটা মালিকদের দেখতে হবে। তাতে উৎপাদনও বাড়বে, মালিকরা-শ্রমিক উভয়ই লাভবান হবে।
শ্রমিক, দিনমজুর তথা খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করার জন্যই আমাদের রাজনীতি বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের কথা ভাবি, মানুষের কল্যাণে কাজ করি।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে, তখনই এ দেশের শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, মেহনতি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি যে সুখী ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, সংগ্রাম করেছি এবং দুঃখ ও নির্যাতন বরণ করেছি, সেই বাংলাদেশ এখনো আমার স্বপ্নই রয়ে গেছে। গরীব কৃষক ও শ্রমিকের মুখে যতদিন হাসি না ফুটবে, ততদিন আমার মনে শান্তি নেই। এই স্বাধীনতা আমার কাছে তখনই প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলাদেশে কৃষক, মজুর ও দুঃখী সব মানুষের দুঃখের অবসান হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশ উন্নত করতে হলে শ্রমিক শ্রেণির অবদানটা গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের জন্য সারা জীবন কাজ করে গেছেন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শ্রমজীবীদের উন্নয়নে নানা কাজ শুরু করি। এ দেশের সব শ্রেণির মানুষের জন্যই আমরা কাজ করি। শিশুশ্রম বন্ধ করতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সে ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছি। মে দিবস সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক। সব শ্রমজীবী মানুষকে আমার অভিনন্দন জানাই।’