প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি রয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে, যানবাহনের দীর্ঘ সারি
এতে বাস চালকরা যাত্রীদের ঘাটের দেড় কিলোমিটার আগেই নামিয়ে দিচ্ছেন। এরপর সেখান থেকে এসব যাত্রীরা পায়ে হেঁটে লঞ্চঘাটে আসছেন। আবার কেউ কেউ ফেরিতে করেও পদ্মা পার হচ্ছেন।
যদিও ভেপসা গরমে অতিষ্ঠ যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। নারী ও শিশুদের ভোগান্তিই বেশি। কষ্ট হলে তাদের চোখে মুখে রয়েছে আনন্দের ছোয়া।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, যানবাহনগুলো লেন মেনে চললে কোন সমস্যা হবে না। যদিও চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ঈদের সময় লঞ্চঘাট এলাকায় ঘরমুখী যাত্রীর চাপ বেড়ে যায়। ঈদযাত্রায় এসব ঘরমুখী মানুষকে নিরাপদে পদ্মা পার করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২১টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করছে। এছাড়া আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে চলছে ১২টি লঞ্চ। ঈদযাত্রায় কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৈরী আবহাওয়া না থাকলে দিনের বেলায় নিরাপদে ঘরমুখী এসব যাত্রী পারাপার করা যাবে। তবে লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রীর চাপ বেড়ে গেলে কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ২১টি ফেরি চলাচল করছে। বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটের ডিজিএম জানান, বহরে থাকা ফেরিগুলো দিয়ে সকল যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা সম্ভব। তবে, যাত্রীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান তার।
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহার লবণী জানান, বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হতে থাকবে। লঞ্চ ও ফেরিতেও উপচে পড়া ভিড় এখন থেকেই দেখা যাচ্ছে। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।