দুর্নীতির দায়ে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়াংগনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার এবং ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা ঘুষ নেওয়ার মামলায় এ সাজা দেয়া হয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী সু চির বিরুদ্ধে যে ১১টি অভিযোগ এনেছে দেশটির সামরিক জান্তা। তার মধ্যে প্রথম দুর্নীতি মামলায় সু চি দোষী সাব্যস্ত হলেন।
এর আগে গত ডিসেম্বরে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি দেওয়া এবং করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে তা কমিয়ে দুই বছর করা হয়। আর অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি এবং ব্যবহারের আরেক মামলায় জানুয়ারিতে তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আছে দুর্নীতি, নির্বাচনী আইন ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের লঙ্ঘন। সবগুলো মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হলে ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে সু চির। বিচার শেষ হতেই লাগতে পারে কয়েক বছর।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।