ঢাকা: বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনা দশ বছর পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন হদিস পাওয়া যায়নি বিএনপির এই নেতার।
এ উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানে লেকসোর হোটেলে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিএনপি।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এই আলোচনাসভা শুরু হয়েছে।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও উপস্থিত আছেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, ঢাবির সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনা, ছেলে আবরার ইলিয়াস, বৃটিশ হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি সালাওয়াত এডুফি সহ গুম হওয়া পরিবারের সদস্যরা।
‘ইলিয়াস আলীসহ সব গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দাও’ শীর্ষক এই আলোচনাসভাটি পরিচালনা করছেন বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গুম একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। আমরা এমন একটি সময়ে এই কথা বলছি যখন যুক্তরাষ্ট্র এদেশের সাত জন কর্মকর্তা পুলিশ প্রধান, র্যাব প্রধান, যারা গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের ওপর স্যাংশন দিয়েছে। এই স্যাংশনের পরেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কোনো তাদের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং এবং আইনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এটা থেকে আমরা নির্ধিদায় বলতে পারি এই ধরণের নিষ্ক্রিয়তা গুমকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। তারা এই ধরণের গুম-খুনকে ব্যবহার করে, বিচারবহির্ভূত হত্যা, রাজনৈতিক মামলা ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এ কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।