বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ইফতার ও সাহরির ফুড প্যাকেট বিতরণ করেছেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের হাজারীবাগ পশ্চিম থানার উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও সাহরির ফুড প্যাকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারিসেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসাইন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও হাজারীবাগ পশ্চিম থানার আমির আব্দুর রহমান, থানা সেক্রেটারি মাহফুজ আলম সহ থানা কর্মপরিষদ সদস্য ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, রোজার এই সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষের মাঝে নাভিশ্বাস উঠেছে। চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে তেল গ্যাস সবকিছুর মূল্য আকাশচুম্বি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী। এ অবস্থায় মানুষ রোজা পালনের জন্য জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রি কিনতে সক্ষম হচ্ছে না। দেশের এই অসহনীয় অবস্থায় আমরা আমরা রাজপথে জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ভূমিকা পালন করছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অতিসত্তর দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং সকল জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় আমরা যাবতীয় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সে লক্ষ্যে মানুষের পাশে থেকে জামায়াত কাজ করে যাচ্ছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েন তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহায়তা আমরা প্রদান করে আসছি। যারা অসহায় হয়ে পড়েন তাদের পাশে আমরা সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করি। এটা জামায়াতের চার দফা কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম কাজ। সমাজসেবা ও সমাজ সংস্কারমূলক একাজ দৃঢ়তার সাথে আমরা পরিচালনা করে যাচ্ছি। এই রমজানেও আমরা ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ এলাকায় বসবাসকারী অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ইফতার ও সাহরির ফুড প্যাকেট বিতরণের ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যেই অসংখ্য মানুষের কাছে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছিয়ে দেয়া হয়েছে এবং খুঁজে খুঁজে এসব মানুষের কাছে ইফতার ও সাহরির ফুড প্যাকেট পৌঁছানোর কাজ চলমান রয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে সুখি ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। যেখানে সকল নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি অসহায় মানুষের রোজা পালনে সহায়তার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।