গাজীপুর: আইনজীবীদের আন্দোলনের মুখে চাঁদাবাজী মামলায় আটক আইনজীবী ইব্রাহিম খলিলকে জামিন দিয়েছে আদালত। আন্দোলকালে আদালতে ভাংচূরের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘঠিত হয়েছে।
বুধবার( ১১ মাচ) রাত ৮টায় জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকতা(ওসি) রেজাউল হাসান সংবাদটি নিশ্চিত করেন।
ওসি বলেন, আদালতে ভাঙচূরের ঘটনায় আইনজীবীরা জজ সাহেবের নিকট ক্ষমা চেয়েছেন। তবে জজ সাহেব বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার নিদেশ দিয়েছেন। কমিটির কোন কাগজ না পেলেও কমিটিতে জেলা জজ আদালত, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আইনজীবীদের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন। ওই কমিটি ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিবেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
এদিকে বুধবার বিকাল ৫টার দিকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেন পুলিশের হাতে আটক আইনজীবী ইব্রাহিম খলিলকে ৭দিনের অন্তবতীকালীন জামিন দেন।
চাঁদাবাজী মামলায় আটক একজন আইনজীবীর মুক্তির দাবিতে মিছিল ও সাধারণ সভা করেছে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতি। সভায় আটক আইনজীবীর মুক্তির পূব পযন্ত আদালত বজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বুধবার(১১ মাচ) বেলা সাড়ে ১২টায় গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতি জরুরী সাধারণ সভা করে আদালত বজনের ঘোষনা দেয়।
গাজীপুর বারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি দেওয়ান মোঃ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, বারের জিপি আমজাদ হোসেন বাবুল, পিপি হারিছ উদ্দিন আহমেদ, বারের সাবেক সভাপতি আঃ ছাত্তার, শহিদ উজ্জামান, সুলতান উদ্দিন ও মোঃ আব্দুস সোবাহান প্রমূখ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে জয়দেবপুর থানা পুলিশ ইব্রাহিম খলিল নামে একজন আইনজীবীকে গাজীপুর মহানগরের গাছা এলাকার নিজ বাসা থেকে কোমড়ে রশি বেঁধে ও হাতকড়া পড়িয়ে আটক করে। তার বিরুদ্ধে থানায় রাতেই একটি চাঁদাবাজী মামলা হয়। ওই মামলায় বারের দুই আইনজীবী আসামী রয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী দল সমথিত আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল ২নং আসামী ও গাজীপুর বারের আওয়ামীপন্থী পানেল থেকে নিবাচিত নিবাহী সদস্য আইনজীবী আলেয়া আক্তার ১নং আসামী। তবে আলেয়া আক্তার আটক হননি।
সূত্র জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আটক আইনজীবী ইব্রাহিম খলিলের মুক্তির দাবিতে গাজীপুর বারের আইনজীবীরা শহরে মিছিল বের করে। মিছিলটি রাজবাড়ি রোড দিয়ে পুলিশ সুপার কাযালয় অতিক্রম করার সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশের অভিযোগ, মিছিলকারীরা পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা করেছেন। আইনজীবীদের অভিযোগ, পুলিশ মিছিলকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন।এই অবস্থায় মিছিল শেষে আইনজীবীরা আদালতে যায়। অতঃপর সকল আদালত থেকে তারা বেরিয়ে আসেন। এসময় নিম্ন আদালতের দরজা জানালা বিচ্ছিন্ন ভাবে ভাংচূর হয়।
বেলা ১১টার গাজীপুর আইনজীবী সমিতি জরুরী সাধারণ সভায় মিলিত হন। সাড়ে ১২টায় সভা শেষে আটক আইনজীবীর মুক্তির পূব পযন্ত আদালত বজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিকাল ৫টায় আটক আইনজীবীর জামিন হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হয়। পরে ডিসি এসপি ও প্রশাসনের কমকতারা ঘটনাস্থল পরিদশন করেন।