এবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনী চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি নতুন পরীক্ষাগার ধ্বংস করেছে। বুধবার (২৩ মার্চ) ফেসবুক পোস্টে এ দাবি করে কেন্দ্রটির কর্তৃপক্ষ।
চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ল্যাব ধ্বংস করল রাশিয়া
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের সহায়তায় ৬০ লাখ ইউরো ব্যয়ে নির্মিত পরীক্ষাগারটি ২০১৫ সালে খোলা হয়েছিল।
ইউক্রেনে অভিযানের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই রাশিয়া কেনো চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নেয়। সে সময় আশঙ্কা করা হয় ১৯৮৬ সালের ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনার মতো আরেকটি দুর্যোগের মুখোমুখি হতে পারে অঞ্চলটি। তবে সে রকম কিছু ঘটেনি।
বুধবার ইউক্রেনীয় সরকার জানায়, রুশ বাহিনী চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি নতুন পরীক্ষাগার ধ্বংস করেছে। পরীক্ষাগারটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তহবিলে পরিচালিত হতো।
গবেষণাগারে অত্যন্ত সক্রিয় নমুনা এবং রেডিওনুক্লাইডের নমুনা রয়েছে বলে দাবি করছে ইউক্রেন। যা অন্যান্য জিনিসের মধ্যে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করার নিয়ে কাজ করত।
ইউক্রেনের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা সোমবার (২১ মার্চ) জানায়, প্ল্যান্টের চারপাশে তেজষ্ক্রিয়তা মনিটরগুলো কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান জোরদারের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের দূরত্ব বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সামরিক জোট ন্যাটোর ওপর যে কোনো সময় রুশ সেনারা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সে লক্ষ্যে মস্কোর যে কোনো আক্রমণ প্রতিহত করতে নরওয়েতে সামরিক মহড়া শুরু করেছে ন্যাটো।
কিয়েভে অস্থিরতার জেরে ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে আরও সেনা ও রণসরঞ্জাম মোতায়েন করতে যাচ্ছে ন্যাটো।
এদিকে পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দেওয়ায় তুমুল বাকবিতণ্ডার মধ্যেই এবার ইউক্রেনে রুশ অভিযানকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিয়েভে সামরিক অভিযানের জন্য পুতিনকে দায়ী করতে জাতিসংঘেও জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পুতিন সরকারকে দায়ী করে ব্যবস্থা নিতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান সংস্থায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড।