চলতি বছর জানুয়ারিতে গ্যাস বিতরণকারী ছয়টি কম্পানি খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের প্রস্তাবের ওপর গত সোমবার থেকে গণশুনানি শুরু করেছে বিইআরসি। চার দিনের এই গণশুনানি শেষ হবে আজ বৃহস্পতিবার।
গতকাল বুধবার গণশুনানির তৃতীয় দিনে বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহকারী তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেড এবং কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহকারী বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবের ওপর শুনানি হয়।
এই দুই কম্পানির গ্যাসের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিইআরসির কারিগরি কমিটি। এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে বাসাবাড়ির গ্যাসের মাসিক বিল এক চুলায় ৯২৫ টাকা থেকে ৬৫ টাকা বেড়ে ৯৯০ টাকা এবং দুই চুলায় ৯৭৫ টাকা থেকে ১০৫ টাকা বেড়ে এক হাজার ৮০ টাকা হবে।
রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটরিয়ামে গণশুনানিতে এই সুপারিশ করে কমিটি। গতকাল সকালে প্রস্তাবনার ওপর শুনানি করে তিতাস গ্যাস। বিকেলে প্রস্তাবনার ওপর শুনানি হয় বাখরাবাদ গ্যাসের। তিতাস গ্যাস দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের পাশাপাশি বিতরণ চার্জ ২৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬৮ পয়সা করার আবেদন করেছে। তবে বিইআরসির কারিগরি কমিটি বিদ্যমান বিতরণ চার্জ বাতিলের সুপারিশ করেছে। কমিটি তিতাস গ্যাসের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে। শুনানিতে তিতাস গ্যাসের পক্ষে গ্রাহক পর্যায়ে মিটারভিত্তিক চুলার জন্য প্রতি ঘনমিটার ২৭ টাকা ৩৭ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়। যার বর্তমান দাম ১২ টাকা ৬০ পয়সা। এই প্রস্তাবের বিপরীতে ভোক্তা পর্যায়ে মিটারভিত্তিক চুলার জন্য প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা করার সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি।
কারিগরি কমিটি বলছে, বিতরণ মার্জিন ছাড়াও তিতাসের আরো আয় রয়েছে। তিতাস ১০ হাজার ১৪৭ মিলিয়ন টাকা অতিরিক্ত আয় করেছে।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেন, ‘তিতাসের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। সবাই গ্যাস ব্যবহার করলেও বিল দেন না। ফলে গ্রাহকের কাছে টাকা পড়ে আছে। অন্যদিকে বকেয়া বিলের মামলার কারণেও এক হাজার ৩১৬ কোটি টাকা আটকে আছে। এদিকে মার্জিন কম থাকায় তিতাসের টাকা নেই। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো চালাতে হলে তিতাসের টাকা প্রয়োজন। ’