ইউক্রেনপ্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পোল্যান্ড সীমান্ত উন্মুক্ত

Slider সারাবিশ্ব

পোল্যান্ডের ওয়ারশতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাদের পাসপোর্ট নেই, তারা ট্রাভেল পাস নিয়ে পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক বাংলাদেশিকে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি সঙ্গে রাখতে হবে।

ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে ঢুকতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের সহায়তা প্রদান করবেন বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল। ইউক্রেনের ভেতরে বিচ্ছিন্ন বোমা বিস্ফোরণ, পেট্রোল অপ্রতুলতা এবং পথে অতিরিক্ত ট্রাফিক জ্যামের কারণে এ মুহূর্তে ওই বর্ডারের দূরবর্তী এলাকায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে রওনা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন কারণে ইউক্রেনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ইউক্রেনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে হোয়াটঅ্যাপে গ্রুপ করে গতকাল প্রায় তিনশর মতো বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ইউক্রেনে থেকে বাংলাদেশিদের পোল্যান্ডে নিয়ে এসে আপাতত আশ্রয় দিতে আমরা নির্দেশ দিয়েছি। সেখানে থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

শাহরিয়ার আলম আরও জানান, ইউক্রেনে বসবাসরত বিদেশিদের ১৫ দিনের জন্য সাময়িক ট্রানজিট ভিসা দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোল্যান্ড।

মন্ত্রী বলেন, আজকালকের মধ্যে পোল্যান্ড তাদের সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে বলে আশা করছি। তারপর বাংলাদেশিরা পোল্যান্ডে ঢুকতে পারবেন।

ওয়ারশতে বাংলাদেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ইউক্রেনে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে যাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী।

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানের নীতিতে বিশ্বাসী। দুঃখজনকভাবে পরিস্থিতি গুরুতর রূপ নিয়েছে। শান্তির পথে যেসব সমস্যা রয়েছে আলোচনার মাধ্যমে তার সুরাহা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সেই সংলাপের পথে যাওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

এই যুদ্ধ বাংলাদেশের ওপর কী প্রভাব ফেলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *