মাঘের শেষ দিকে এসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে শৈত্যপ্রবাহ, বৃষ্টি। গতকাল মেঘলা দিনে শীত উপেক্ষা করে কাজ করতে মাঠে নামেন কৃষক। রাজশাহীর তানোরের চান্দুড়িয়া এলাকা থেকে তোলা।
রাজধানী ঢাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। সূর্যের দেখা মেলেনি। সঙ্গে ছিল থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
শুধু রাজধানী নয়, দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলের মানুষ শীতে কাবু হয়ে পড়ে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কুমিল্লা, সিলেট, রংপুর ও দিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল সামান্য। দেশে গতকাল সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে (১২ মিলিমিটার)। এ ছাড়া বগুড়ায় আট মিলিমিটার, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ছয় মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ও চুয়াডাঙ্গায় চার মিলিমিটার, রাজশাহীতে তিন মিলিমিটার ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এরপর বৃষ্টি কমে আসবে। সেই সঙ্গে রাতে শীত কিছুটা বাড়তে পারে। গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, কাল শনিবার ও পরদিন রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ সময় রাতের তাপমাত্রা কমবে, দিনের তাপমাত্রা বাড়বে।
দেশে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে, ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।