প্রতিদিন ১০ লাখ সক্রিয় ব্যবহারকারী হারাচ্ছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। আর এ কারণে লভ্যাংশের পতন হচ্ছে মূল কোম্পানি মেটার।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) লভ্যাংশের দ্রুত পতন সম্পর্কে হতাশাজনক তথ্য প্রকাশ করে মেটা। তারা বলেছে, ফেসবুকে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত কমে যাওয়ায় একে বিজ্ঞাপনের ‘বড় হুমকি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরে ফেসবুকের শেয়ারের মূল্য শতকরা প্রায় ২২ ভাগ কমে যায়।
এর আগে তিন মাস ভিত্তিতে এক হাজার ৩০ কোটি ডলার লাভ হয়েছিল মেটার। এরপর থেকে প্রতিদিনই সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে। ২০২১ সালের শেষ দুই চতুর্ভাগে বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ব্যবহারকারী কমেছে প্রায় ১০ লাখ। অথচ ফেসবুকের প্রতিদিনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০ কোটি।
ফেসবুকের সিএফও ডেভ ওয়েইনার বিশ্লেষকদের জানিয়েছেন, করোনা মহামারিকালে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামঞ্জস্যহীন ব্যবহারকারী পাওয়া যায়। এ সময় সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। ভারতে মোবাইল ফোনের ডাটার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও তরুণ বা যুব সমাজের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক সার্ভিসগুলো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক অ্যাপ টিকটকের কথা তুলে ধরেন ডেভ ওয়েইনার। এ ধরনের আরও কিছু অ্যাপ আছে। এসব কারণে ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারী কমে থাকতে পারে। সঙ্গে রয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ও তদন্ত।
বিশ্লেষকরা প্রতিদিন ফেসবুকে ১৯৫ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী থাকবেন বলে আশা করেন। তবে মেটার রিপোর্টে সংখ্যাটি ১৯৩ কোটি।
আর্থিক দিক দিয়ে মেটা তিন হাজার ৩৬৭ কোটি ডলার টার্নওভার অর্জন করেছে। গত বছরের শেষ চতুর্ভাগে তারা নিট লাভ করেছিল এক হাজার ৩০ কোটি ডলার, যা এর আগের বছরের তুলনায় আট ভাগ কম।