আওয়ামী লীগ সরকার পতনে সবাইকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চলে আসবে, যদি আমরা মাঠে খেলা জমাতে পারি।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক নেতা, আলেম-ওলামা, সাংবাদিক ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘রাজবন্দির মুক্তি দাও’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নুরুল হক বলেন, ‘মন্তব্য, বিবৃতি, প্রেস রিলিস অনেক হয়েছে। এখন রাস্তায় নামতে হবে। কোনো একটা দলের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। বিএনপি বড় দল, আন্দোলন–সংগ্রামে আমরাও ফিল করি, তাদের মতো সংগঠিত ফোর্স আমাদের দরকার আছে। কিন্তু বিএনপি যদি একা পারত, তাহলে ১২ বছরে পারত। বিএনপির দিকে বল ছেড়ে না দিয়ে আপনারাও একটু নাড়াচাড়া করেন। দেখেন, কে কোন দিকে নিয়ে যেতে পারেন। গোল আমরাও দিয়ে দিতে পারি।’
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রসঙ্গে নুরুল হক বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত ছিল আরও কয়েক বছর আগে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় লবিস্ট ফার্ম নিয়োগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লবিস্ট নিয়োগ করেছে প্রথমে আওয়ামী লীগ। ২০০৪ সালের নভেম্বরে সজীব ওয়াজেদ জয়কে দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ২০০৭ সালে গিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিএনপি তথ্য–প্রমাণসহ নির্যাতনের তুথ্য তুলে ধরতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন নুরুল হক। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো যখন আমাদের সঙ্গে সভা করে, তারা বলে, যে নির্যাতন করা হয়েছে, তার তথ্য-প্রমাণ বিএনপি দিতে পারে না। তারা (আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়) বলে, তাদের এত সম্পদ নেই, মানবসম্পদ নেই, সক্ষমতা নেই। বিএনপি কিন্তু চাইলে পারে।’
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সভাপতিত্ব করেন এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের। এসময় আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণফোরামের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (জাফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন ও দলটির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন আবদুল্লাহ জাফরী প্রমুখ।