রাজশাহী নওহাটা পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুরকে হত্যা করা হয়েছে। কথিত চিকিৎসক জান্নাতুন সালমা মিম রিমাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ এ বিষয়ে আদালতে মিমের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে পবা থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পবা থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিম স্বীকার করেছে মেয়র আব্দুল গফুরকে হত্যা করা করেছে। তবে কোথায়, কখন ও কিভাবে মেয়র আব্দুল গফুরকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে ওসি তদন্ত কিছুই জানাননি।
ওসি জানান, আজ রোববার মিমের জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে নেয়া হবে। সেখানেই বিষয়টি পরিষ্কার জানা যাবে। তবে পুলিশের একটি সুত্র জানিয়েছে, মেয়র আব্দুল গফুরকে ৬ জানুয়ারির দিকে ঢাকায় হত্যা করা হয় ও গোপন করতে লাশ মাটিতে পুতে ফেলা হয়।
পবা থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, আটক মিম ও তার দুই বোনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছিলো। তাদেরকে রিমান্ডে আনার চেষ্টা ছিলো অনেক আগে থেকেই। তবে অবরোধ ও হরতালের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মিমসহ তিন বোনকে রিমান্ডে আনা সম্ভব হচ্ছিলো না।
অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আদালত তিন বোন কথিত ডা. জান্নাতুল সালমা মীম, জান্নাতুন নাইম ও জান্নাতুন ফেরদৌসকে দুই দিনের রিমান্ডের অনুমতি দেয়। এরআগে ১৯ জানুয়ারি মেয়রের বর্তমান স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা পারুল বাদি হয়ে পবা থানায় অপহরণের মামলা করেন।