নির্বাচন কমিশন আলু-পটলের ব্যবসা করে জানা ছিল না : বদিউল আলম

Slider জাতীয়


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, আমরা কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করি না। সুজন কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করে না। আর নির্বাচন কমিশনও আলু-পটলের ব্যবসা করে জানা ছিল না।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া কাজে বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন সিইসি।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, উনার কাছে যদি অনিয়মের তথ্য-প্রমাণ থাকে তিনি তা উত্থাপন করুক। বিশ্লেষণ করে আমরা যেটা তুলে ধরেছি, সেটা হলো পুরো নির্বাচনী ফলাফল বানোয়াট ছিল। সেটা প্রমাণ করেছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২১৩ কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। বিএনপি ১২ সেন্টারে শূন্য ভোট পেয়েছে। আওয়ামী লীগও দুটো সেন্টারে শূন্য ভোট পেয়েছে। এটা অসম্ভব। অর্থাৎ পুরো নির্বাচনী ফলাফলই বানোয়াট ছিল, এটা আমরা তুলে ধরেছি।

তিনি আরও বলেন, এই ভদ্রলোক (সিইসি নূরুল হুদা) এখন আমাদের দোষারোপ করার চেষ্টা করছেন। কোনো তথ্য প্রমাণ থাকলে তুলে ধরুক। এই চ্যালেঞ্জ আমি দিচ্ছি।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনও ব্যবসা করে না। আমিও করি না। আমি বেকারও না। ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছে, তখন সৈয়দ আবুল মকসুদ, ড. হাফিজসহ আমাদের সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির মেম্বাররা অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে গিয়েছি। আমরা যে কাজ করেছি, তথ্য-উপাত্ত দিয়ে করেছি। আর তিনি বলেছেন, মুড়ির ঢোঙা? (প্রার্থীদের হলফনামা একীভূত করে সুজনের প্রকাশিত বই)। এই ভদ্রলোকের সাথে সততা, সতত্যার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধংস করেছে। আমাদের ভোটাধিকার হরণ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা ৪২ জন নাগরিক রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হয়েছি, সুপ্রিম জুড়িসিয়াল কাউন্সিল করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য। টেলিভিশন তাদের দুর্নীতি নিয়ে সাত-আট পর্বের অনুষ্ঠান করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *