আ’লীগ করতে না পারলে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে কাজ করবো : কাদের মির্জা

Slider রাজনীতি


নোয়াখালী: ‘নেত্রী যদি মনে করেন তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক, আমি আওয়ামী লীগ করতে না পারলে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ নিয়ে কাজ করবো, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবো’

শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন আওয়মী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ভাই, বসুরহাটের পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

তিনি আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসা বাধাগ্রস্ত করতে সুনামগঞ্জের শাল্লায় সহিংসতা করেছে হেফাজত। তারা শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ ষড়যন্ত্র করছে।

কোম্পানীগঞ্জে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে উল্লেখ করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘তারা (প্রতিপক্ষ) পুলিশের ছত্র ছায়ায় আমার পৌরসভায় গুলি করলো। আর পুলিশের বড় কর্মকর্তারা টাকা খেয়ে বলছে উল্টা কথা। গুলির পর আমার অনেক নেতা-কর্মী হাসপাতালে ও জেলে রয়েছে। তাদের লোকজন জামিন পায়, আর আমার লোকের জামিন হয় না। তাদের লোকজন প্রকাশ্যে ঘুরলেও আমার লোকজন ঢাকা গিয়েও বাঁচতে পারে না। আমাকে অস্ত্রবাজ বানাতে কাঞ্চনের বাড়িতে (সহযোগী) অস্ত্র রেখে পুলিশ মামলা দিয়েছে। আমার কর্মীদের অস্ত্রবাজ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এজন্য জনতার আদালতে আপনাদের বিচার হবে।’

কাদের মির্জা ইউএনওকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এতদিন যা করেছেন মাফ করে দিলাম। এবার নিরপেক্ষ হয়ে যান। ইউএনও সাহেব আপনি আমার আইসোলেশন সেন্টার ভেঙ্গেছেন, এর জবাব আপনাকে দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যত সরকার এসেছে সব সরকারের সময় জিল্লুর রহমান এমপি ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা ছিল না কথা বলার জন্য। সবাই বেইমানী করেছে, কেউ কেউ পালিয়ে গেছে। একমাত্র জিল্লুর রহমান বুক ফুলিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছে।

এ দিকে রোববার একই সময়ে সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি, বিশিষ্ট আইনজীবী, লেখক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন আবদুল কাদের মির্জা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কাদার হায়দর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: ইউনুছসহ সভাপতি হাসান ইমাম বাদল, মিজবাহ চৌধুরী, জামাল উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক শঙ্কর ভৌমিক, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আজিজুল হক প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *