চলমান কর্মসূচির সময় পেছালো বিএনপি

Slider বাংলার মুখোমুখি

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত সুচিকিৎসার দাবিতে দলটির চলমান কর্মসূচির তারিখ ও স্থান পুনঃনির্ধারনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটায় দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, জনস্বার্থ এবং প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের চলমান সভা সমাবেশের তারিখ পুনঃনির্ধারন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা বিএনপি ও অঙ্গ দল সমূহের সকল কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দকে পুনঃনির্ধারিত তারিখে সভা সমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি অব্যহত রাখার আহবান জনাচ্ছি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিশেষজ্ঞ মহল যখন বলছেন, উন্মুক্ত স্থানের চেয়ে বন্ধ স্থানে কোভিড বেশী ছড়ায় তখন বাংলাদেশ সরকার ১১ দফা নির্দেশনায় স্বাস্থবিধি মেনে উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম নিষিদ্ধ করে বহু স্থানে তা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এই অযৌক্তিক সরকারী সিদ্ধান্ত অবশ্যই কোভিডের সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যে নেয়া হয়নি। বিরোধী দল সমূহের চলমান প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ ও দমন করা জন্য করা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যাবে, হাট-বাজার, যানবাহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে, দোকান-পাট, শপিং মল খোলা রাখা যাবে। সারা দেশে মেলার আয়োজন করা যাবে এবং মুজিব বর্ষ পালনের কর্মসূচী দীর্ঘায়িত করা যাবে সেখানে উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, আগণতান্ত্রিক এবং দমন মূলক বলেই আমরা মনে করি।

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রথম ধাপে ৩২টি জেলায় সমাবেশ করেছে বিএনপি।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে ৩৯টি জেলায় সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় তারা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি জেলায় বুধবার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *