রাজধানীর তিন থানায় পাঠানো হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি ।
থানাগুলো হলো- রমনা, গুলশান ও ক্যান্টনমেন্ট থানা।
আজ বুধবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আজ ওই মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ মামলা দুটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিলো।
তবে খালেদা জিয়া আজ আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে সময় আবেদন করেন।
কিন্তু আদালত তা নাকচ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় এবং হরতাল-অবরোধে নিরাপত্তাজনিত কারণে হাজির হতে পারেননি বলে তার আইনজীবীরা আদালতকে জানান।
পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে এ দুই মামলার বিচারকাজ চলছে।
গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে এ দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২২ সেপ্টেম্বর জিয়া অরফানেজ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সর্বশেষ তিনি গত ডিসেম্বরে আদালতে হাজির হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এছাড়া ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়।
খালেদা ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অপর পাঁচ আসামি হচ্ছেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
অন্যদিকে ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন- খালেদা জিয়া ছাড়াও তার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।