যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি রাজ্যে ৩০টিরও বেশি টর্নেডো আঘাত হেনেছে। আর এতে অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেবল কেন্টাকিতেই অন্তত ৭০ জন মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া আরকানসাস, ইলিনয়স, মিসৌরি, মিসিসিপি ও টেনেসিতেও অনেক লোক হতাহত হয়েছে।
২০০ মাইল (প্রায় ৩২২ কিলোমিটার) জুড়ে অসংখ্য বাড়ি, দোকান নষ্ট হয়েছে শুক্রবার রাতের এই ঝড়ে।
কেনটাকির বিভিন্ন জায়গায় চারটি টর্নেডো আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। একটি টর্নেডো প্রায় ৩৬৫ কিলোমিটার জুড়ে এগিয়েছে। সব শহর মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে। কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, ‘আমি এমন বিধ্বংসী ঝড় দেখিনি। কেনটাকিতে অন্তত ৫০ জন মারা গিয়েছেন। সংখ্যাটা ৭০-এর উপরেও হতে পারে। দিনের শেষে ১০০ ছাড়িয়ে গেলেও অবাক হওয়ার থাকবে না।’
সিএনএন জানায়, কেন্টাকির একটি মোমবাতির কারখানাতেই অনেক লোক নিহত হয়েছে। টর্নেডোর তাণ্ডবে মেফিল্ড শহরের ওই কারখানাটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। গভর্নর জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কারখানার ১১০ জনের মধ্যে ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর কাউকে উদ্ধার করা হলে তা অলৌকিক ঘটনা বিবেচিত হবে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ১৮৯ জন জাতীয় নিরাপত্তাকর্মীকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেশিয়ার। মেফিল্ড নামক ছোট শহরেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেইসাথে টর্নেডোর প্রভাব পড়েছে ইলিনয়, মিসৌরি এবং আরকানসাসে।