রাজশাহী: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে।
কর্মসূচি থেকে বক্তারা কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর শাস্তি এবং তাকে দল ও পদ থেকে অপসারণের দাবি জানানো হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাজশাহী জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এসব উইপোকাদের অবিলম্বে দল থেকে অপসারণ করতে হবে। আব্বাসের মতো ‘কুলাঙ্গারদের’ আমরা যেন ক্ষমতায় আর না দেখি। তার মতো যেসব জামায়াত-বিএনপির দোসররা দলের ভেতর বসে আছে, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করার এখনই উপযুক্ত সময়।
বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তারা যত ক্ষমতাধরই হোক না কেন তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। এসময় বক্তারা মেয়র আব্বাসকে দল ও মেয়র পদ থেকে অপসারণসহ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর রুহুল আমিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান প্রমুখ।
কাটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তারা মেয়র আব্বাসকে গ্রেফতারের দাবি জানান। একই সাথে তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। বিক্ষোভ মিছিলে কাটাখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম রাজশাহী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে আব্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং মিছিল শেষে জিরো পয়েণ্টে মেয়র আব্বাসের কুশপুত্তলিকা দাহ করার কথা রয়েছে।
গত ২১ নভেম্বর রাতে মেয়র আব্বাসের ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে কটূক্তির একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তবে ফাঁস হওয়া অডিওর পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন মেয়র আব্বাস আলী। মেয়রের দাবি, মুর্যাল স্থাপন করা যাবে না এমন কথা তিনি বলেননি।