রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ পড়ানোর অপরাধে,কাজী বরের কারাদণ্ড, কনের’ বয়স ১৩ বছর, গোপনে তার বিয়ে দিচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এ জন্য কাজীর মাধ্যমে তৈরি করা হয় ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ। বাল্যবিবাহের দায়ে হাতেনাতে ধরে কাজী, বর ও কনের মাকে সাজা দিয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল।
২২ জানুয়ারি বুধবার রাত ১১টার দিকে বিয়ের চেষ্টার সময় উপজেলার কর্ণপুর গ্রামের তাইজুদ্দিনের ছেলে গোসিংগা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি, কাজী আবুল কালাম আজাদীকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৯ ধারায়, ৬ মাস এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের বাসিন্দা বর ফাহরুম হোসেনকে ২১ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া ওই কনের মাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান আশিক বলেন, স্থানীয় একটি কম্পিউটারের দোকানে ১৩ বছর বয়সী ওই শিশুর বয়স বাড়িয়ে জন্মনিববন্ধনে ১৮ বছর বানানো হয়। সবকিছু জানা সত্ত্বেও মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিয়ে পড়াতে যান কাজী। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল বলেন, ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে বেআইনিভাবে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।