গুরুদাসপুর (নাটোর): নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় আবুল কাশেম (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাজিরপুর ডিগ্রি কলেজ গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কাশেম নাজিরপুর ইউনিয়নের লহ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, কাশেম ও কেনাল (৪৪) পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তারা। পাঁচ বছর আগে ইরাক থেকে দেশে ফেরেন কাশেম। বিদেশ যাওয়ার জন্য বন্ধু কাশেমের দারস্ত হন কেনাল। এ জন্য তিন বছর আগে কাশেমকে কেনাল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন অজুহাতে কেনালকে বিদেশ পাঠাতে পারেননি কাশেম। এ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
কেনালের টাকা নিয়ে এক বছর আগে সালিস হয়। সে সময় কাশেম এক লাখ টাকা কেনালকে ফেরত দেন। বাকি ৮০ হাজার টাকার জন্য কাশেমের কাছ থেকে ফাঁকা চেক নেন কেনাল। কাশেম বাকি টাকা পরিশোধ করতে চাইলেও ফাঁকা চেকটি ফেরত দিতে তালবাহানা শুরু করেন কেনাল। এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে রেষারেষি চলে আসছিল।
নিহত কাশেমের মা জামেনা বেগম জানান, কেনাল বুধবার সকালে চেক ফেরত দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে কাশেমকে ডাকেন। কেনালের ফোন পেয়ে খাবার রেখেই সাইকেল নিয়ে নাজিরপুর বাজারে যান কাশেম। এরপর আর ফেরত আসেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী মুদি দোকানি বেলাল হোসেন জানান, তার দোকানের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কেনাল। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাইকেল নিয়ে কাশেম তার দোকানের সামনে এলে কেনাল পথরোধ করে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কাশেম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পিঠে এবং পেটে এলোপাতাড়ি ছুড়িকাঘাত করে পালিয়ে যান কেনাল। পরে কাশেমকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তিনি। অভিযুক্ত কেনাল পলাতক রয়েছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।