অবশেষে ফিরলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রাণ সাকিব আল হাসান। দলকে ভালো অবস্থানে রেখে সাজঘরে ফিরলেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৬৩ রান করে আউট হন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে তিনি ৫১ বল খেলে একটি ছয়ের সাথে ৬টি চার হাঁকান।
টাইগারদের দলীয় সংগ্রহ ৪৫ ওভার শেষে ২৩৩ রান। ব্যাটিং ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন ৬২ রান করা মুশফিকুর রহিম।
পাওয়ার প্লে’তে (১০ ওভার) বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৩৮ রান। ২০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল দুই উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান। ৩০ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে ১২২ রান তোলে লাল-সবুজরা। আর ৪০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৯৪ রান।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশ দলের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে আসেন ১৩৬ ম্যাচ খেলা বাঁহাতি ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল এবং ২৮ ম্যাচ খেলা ডানহাতি ওপেনার এনামুল হক বিজয়। আফগানিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপে আফগানদের হয়ে বোলিং শুরু করেন ২৫ ম্যাচ খেলা হামিদ হাসান।
বেশ দেখেশুনেই শুরু করেন টাইগারদের দুই ওপেনার তামিম-এনামুল। তবে দলীয় ৪৭ রানের মাথায় মিরওয়াইস আশরাফের বলে উইকেটের পিছনে আফসার জাজাইয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তামিম (১৯ রান)। আর ব্যক্তিগত ২৯ রানে মিরওয়াইস আশরাফের বলেই এলবির ফাঁদে পড়েন এনামুল। দলীয় ৫২ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন এনামুল।
তামিম ইকবালের বিদায়ের পর এনামুলও বিদায় নিলে ব্যাটিং ক্রিজের দায়িত্ব নেন ১১১ ম্যাচ খেলা মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মাত্র দুই ম্যাচ খেলা সৌম্য সরকার। তবে, ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ২৫ বলে ব্যক্তিগত ২৮ রান করে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। শাপুর জাদরানের বলে এলবির ফাঁদে পড়ার আগে তিনি তিনটি চার আর একটি ছয় হাঁকান।
এর আগে সেট হয়েও শাপুর জাদরানের বলে সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ১১৯ রানে আর ব্যক্তিগত ২৩ রান সংগ্রহ করে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন রিয়াদ।
বিশ্বকাপের ১১তম আসরে ক্যানবেরার মানুক ওভাল স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে টাইগাররা। এ আসরের প্রথম ম্যাচ হওয়ায় জয় ভিন্ন কিছুই ভাবছে না লাল-সবুজ জার্সিধারী মাশরাফি বাহিনী।