গাজীপুর: তাবলীগ জামায়াতের কাকরাইলের মুরব্বী ওয়াসিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে
লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ জামাতের
দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ
মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার(১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৩টায় টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, বিষয়টি ঢাকার কাকরাইল মসজিদে মিমাংসা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ইজতেমা ময়দানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সকাল থেকে ইজতেমা ময়দানে কাকরাইলের মুরব্বী ওয়াসিকুল ইসলামের নানা দুর্নীতির অভিযোগ এনে ছাপানো বিভিন্ন লিফলেট বিরতরণ করা হয়। এতে ওয়াসিকের পক্ষের লোকজন বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়।
সূত্র বলছে, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৭জন মুসুল্লী জন আহত হয়েছেন এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরো কয়েকজন। এ দাবী করেছেন ওয়াসিকুল ইসলামের প্রতিপক্ষের নেতা মাহমুদুল হাসান। আহতদের মধ্যে জাকারিয়া (৩২) ও আজাহারকে (২৯) টঙ্গী আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
টঙ্গী মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই মালেকা বানু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ময়দানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মাঠে হামলার শিকার তাবলীগ সাথী মাহমুদুর রহমান টিপু তাবলীগের প্রকৃত অনুসারী দাবী করে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তারা দীর্ঘ দিন যাবৎ তাবলীগ জামাতের কাকরাইলের মুরব্বী ওয়াসিকুল ইসলামের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছিলেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের কয়েকজন সাথীকে ঢাকার রমনা থানা পুলিশ দিয়ে আটক করে হয়রানী করেন। এঘটনায় ইতিপূর্বেও তারা কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছিলেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ইজতেমা ময়দানে চিল্লাধারী মুসল্লীদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট প্রচার শুরু হয়।এসময় ওয়াসিকুল ইসলামের অনুসারীরা তাদের সাথে প্রথমে বাকবিতন্ডা ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালান। এতে ৭ জন আহত ও আরো ১০-১২ জন নিখোঁজ হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। কাকরাইলের মুরব্বী ওয়াসিকুল ইসলাম তাবলীগ ও বিশ্ব ইজতেমার নাম ভাঙ্গিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে কোটি কোটি টাকার অনুদান এনে তসরুফ করে চলেছেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
মোবাইল ফোনে ওয়াসিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাবলীগ জামাতের (কাকরাইলের) শীর্ষ মুরুব্বী প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, একটি মহল কয়েক বছর ধরে বিশ্ব ইজতেমার কাজকে বাধাগ্রস্থ করতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা টঙ্গীর বিশ্বইজতেমা মাঠে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। কারো সাথে ব্যাক্তি দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কিন্তু তা বিশ্ব ইজতেমার সাথে জড়ানো ঠিক নয়। অনুদান ও খরচের হিসাব নিয়ে যে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে, ঠিক নয়। যে কেউ চাইলে তা দেখতে পারেন। এখানে কোন দূর্নীতি বা অনিয়ম নেই।