ইসমাইল হোসেন, গাজীপুর: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম রাজপথ উত্তপ্তকারীদের কঠিন ভাষায় জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেসব কথা তোলা হয়েছে, সেসব কথা আমার নয়। ফাঁসানোর জন্য এসব করেছে। আমাকে জনগণ নির্বাচিত করেছে। আমি জনগণের জন্য রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। দশ বছরের কাজ পাঁচ বছরে করার চেষ্টা করছি। আপনারা নির্বাচন করবেন, করেন। জনগণকে কষ্ট দেয়ার অধিকার কারও নেই।
মিথ্যা প্রচারণা দিয়ে, বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। মানুষ হিসেবে ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের অভিভাবক ছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে ছিলেন। আমাদের এই অঞ্চলের মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বিদেশ ছিলেন। আমি নিজেও বিদেশে ছিলাম। ঠিক সেই সময়ে রাস্তায় গাড়ি ভেঙে, টায়ার পোড়ানো হয়েছে কাদের খুশি করার জন্য, কাদের লাভের জন্য? যেসব কথা প্রচার করা হচ্ছে, সেসব কথা আমার নয়। আমাকে ফাঁসানোর জন্য, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হলেন আমার অস্তিত্ব। ছোটবেলা থেকেই জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে ছাত্রলীগ- আওয়ামী লীগ করছি। অথচ মিথ্যা প্রচারণা দিয়ে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা হচ্ছে। নিজেদের স্বার্থে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ষড়যন্ত্র ও তৎপরতা চালানো হচ্ছে। সত্য অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, মেয়র নির্বাচিত হয়ে শত শত কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। এবার ২১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছি। হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকা- চলছে। অনেকে লুটপাট করতে চেয়েছিল পারেনি। সড়ক প্রশ্বস্ত করতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাদের টিনশেড বাড়ি, তাদের টেক্স ফ্রী করে দেওয়া হচ্ছে। মেয়র হিসেবে আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। এই শহর যে কোন মূল্যে আধুনিক শহরে পরিণত করতে হবে, এজন্য সবার সহযোগিতা চাই। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নগর ভবন হলরুমে বুধবার দুপুরে এক মতবিনিময় সভা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ নয়ন, অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন বাবুল, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা মানিক চন্দ্র দে ও নারায়ন চন্দ্র, জেলা যুবলীগ আহবায়ক এসএম আলতাব হোসেনসহ কাউন্সিলর বৃন্দ ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় নগরের সকল পূজা মন্দির এর জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয় নিশ্চিত করে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম হিন্দু ধর্মীয় উপস্থিতিদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষ হিসেবে সবাই যেন যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারে, সেজন্য মেয়র হিসেবে যা করণীয় সবকিছুই করতে আমি প্রস্তুত রয়েছি। প্রয়োজন হলে থানাভিত্তিক ও ওয়ার্ড ভিত্তিক জায়গার ব্যবস্থা করে মন্দির তৈরি করে দেবো। আপনাদের ধর্মীয় কাজে যাতে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আপনাদের পাশে আছে।